বিয়ে করার কথা দিয়ে সহপাঠীর সঙ্গে দীর্ঘ সাত বছর শারীরিক সম্পর্ক করেছে এক যুবক। এমনই এক মামলায় ১০ বছর পর দোষী সাব্যস্ত সুজয় দাসকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাকে।
গতকাল বুধবার ভারতের উত্তরবঙ্গ রাজ্যের আলিপুর ফার্স্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক রীনা সাহু এ আদেশ দেন। এ সময় প্রতারণার অভিযোগে এক বছরের জেল ও ২৫০০ টাকা জরিমানা করেন বিচারক।
দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে অভিযুক্তের শাস্তিতে বিচার ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নির্যাতিতা তরুণী।
জানা গেছে, নির্যাতিত তরুণী ২০০১ সালে স্থানীয় এক কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকে ভর্তি হন। ওই কলেজেরই একই বিভাগে ভর্তি হয় অভিযুক্ত সুজয় দাস।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত টানা সাত বছর ধরে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে সুজয়। কিন্তু বিয়ের কথা তুলতেই বেঁকে বসে সে। এক পর্যায়ে বিয়ে করতে সরাসরি অস্বীকার করে সুজয়। এরপরই ২০০৮-এর এপ্রিলে নিউ আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। তারপর থেকে টানা ১০ বছর ধরে চলে বিচারপর্ব।
নির্যাতিতা তরুণী জানিয়েছেন, এই ১০ বছর ধরে বিভিন্ন সময় নানাভাবে তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো চাপের কাছে নতিস্বীকার করে পিছু হটেননি।